মোঃ অপু খান চৌধুরী।
রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকেরা। মাঠে মাঠে চলছে চারা তোলা আর ধান রোপণের কাজ। কৃষকদের একটুখানি বিশ্রামের অবকাশ নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে এ কাজ। বীজতলা থেকে চারা তোলা ও মাঠ পরিষ্কারের কাজে সবাই ব্যস্ত।
ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা, ক্ষেত মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করা ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টির পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমনের সবুজ মাঠে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। বিশেষ করে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এই বছর উৎপাদন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে জানায় ব্রাহ্মণপাড়া কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথাবলে জানা গেছে, শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করে থাকেন। এখন আমন চাষের শেষ মৌসুম চলছে। উপজেলার কৃষকেরা আউশ ধান ঘরে তুলতে দেরি হওয়ায় আমন রোপনেও কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। আমন চাষের পরবর্তি দিনগুলো কৃষিবান্ধব প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকলে, আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।
এ ব্যপারে ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক রফিক উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৬০ শতক (১কানি) জমিতে আমন ধান রোপন করেছি। বীজতলা তৈরির সময়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমনের বীজতলাও নিজের জমিতে করেছি। জমিতে জৈব সারের পাশাপাশি সামান্য কিছু অন্যান্য সার দিয়েছি। আশা করি ফলন ভালো পাবো।
চান্দলা গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত ভালো হওয়ায় সেচের ঝামেলা ছাড়াই চারা রোপণ করতে পেরেছি। এতে খরচ কম হয়েছে। এ ফসলটা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। বাকী দিন গুলোতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং সময় সময় বৃষ্টি হলে খরচ কম হবে এবং উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, এবছর উপজেলায় আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪৬৫ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ১৯২৫ হেক্টর। ব্রাহ্মণপাড়ায় আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যে আমন রোপন শেষ হবে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আশাকরি অতিরিক্ত খাদ্য শষ্য উৎপাদন হবে।